কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোঃ মামুন ভুঁইয়া,

কিশোরগঞ্জ জেলা করিমগঞ্জ উপজেলা,
গুজাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আরজু মিয়া। ফেইসবুকে গুজাদিয়া টিভি ও আরজু মিয়া পেইজের মাধ্যমে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক কে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য প্রকাশের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গুজাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরজু মেম্বার বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন। বিগত আওয়ামী লীগের সময়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতা কর্মীদেরকে মামলা হামলার মাধ্যমে হয়রানি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দলীয় প্রভাব বিস্তার করেও এতোদিন ছিলেন বহাল তবিয়তে।
কথা বার্তা ও চাল চলনে সহজ সরল সাজার চেষ্টা করলেও ভেতরে ভেতরে পাকা খেলোয়াড় আরজু নিকট অতীতে রাতের আঁধারে পুলিশ নিয়ে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিতেন। তার ভয়ে সকলকেই তটস্থ থাকতে হতো।
তার বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দায়েরের পরও বিএনপির একটি প্রভাবশালী গ্রুপের শেল্টারে এতোদিন পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন নির্বিবাদে।
গত ২৩ মার্চ করিমগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ভিজিএফ কার্ড কেলেঙ্কারির ঘটনায় তাকে মারধর করলে সে ফেইসবুক লাইভে এসে কান্নার অভিনয় করে ভাইরাল হন। আওয়ামী লীগ করার কারণে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে চিৎকার করেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও তার ভিডিও শেয়ার করে পোস্ট করেন।
আত্মপ্রচার সর্বস্ব বিএনপির কিছু নেতাকর্মী ফেইসবুক লাইভে নিজেদের প্রচার ও সামান্য উৎকোচের বিনিময়ে তার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ছিলেন বলে জানা গেছে।
আরজু মেম্বার করিমগঞ্জ পৌর এলাকার মধ্য পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তার স্ত্রী করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিং এ কাজ করেন। আওয়ামী লীগের সময়ে ডা. মাহাবুব ইকবালের মাধ্যমে তিনি নিয়োগ পান।
চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে (১০ মে) করিমগঞ্জ বাজারের ইটালি মহল থেকে করিমগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে আটক করে।