আওরঙ্গজেব কামালঃ বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চরম বিপাকে পড়েছে জনসাধারণ। এছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠার পথে এক অজানা বাধা যেন বাঁধা বেধে আছে। রাজনৈতিক দলে নেতাকর্মীদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় এদেশে দখলবাজির প্রতিযোগিতা চলছে। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সরকারের ওপার আস্থা রাখতে পারছে না। এছাড়া অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আস্থা তো পারছে না বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশের মধ্যে অজানা শক্তিরা যেন মাথা ছাড়া দিয়ে উঠছে। দেশের রাজনীতি উদ্বেগজনক মাত্রায় ঘোলাটে হয়ে পড়েছে অথবা পরিকল্পিতভাবেই তা করা হয়েছে। এর মানে, কোনো না কোনো পক্ষ এই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে। জুলাই আগস্ট এর গণঅভ্যুত্থানের পরে অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে দেশব্যাপী শুধু চলছে আন্দোলন আর আন্দোলন। এ পর্যন্ত নানাবিধ দাবি আদায় লক্ষ্যে প্রতিদিন দুই তিনটি সভা, সমাবেশ,রাস্তা অবোরোধ অব্যহত রয়েছে। দেখে যেন মনে হয় এখনই জনতাদের সব দাবি পূরণ করতে হবে। আর সকলের সব দাবি পূরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস। এর মধ্যে আবার রাজনৈতিক সমঝোতার অভাব। কেউ ফেসবুক বা ইউটিউব ব্যবহার করে মব তৈরি করছে, হুমকি দিচ্ছে এবং বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলছে আর সরকার নানাভাবে তাদের চাওয়া পূরণ করছে। রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক নানা গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে নানা দাবি তুলছে, সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছে এবং তাদের চাপের কাছেও সরকার আত্মসমর্পণ করছে।এখানে দেশ ও জনগণের স্বার্থ, দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ কি তা কেউ ভেবে দেখছে না। এই প্রবণতা দিন দিন অধিক থেকে অধিক হারে বাড়ছে। সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী এখন এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নানা বিধ সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত রয়েছে। সব মিলিয়ে গুটা দেশ একটা অজানা ভীতি কাজ করছে। দেশের চরম আইন-শৃঙ্খলার অবনতি , দ্রব্যের মূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে একদিকে জনগণ রয়েছে চরম বিপাকে ।অপরদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেটা আরো অধিক থেকে অধিক কষ্টদায়ক হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটছে, তাতে মানুষের মনে নানা উদ্বেগ, অজানা আশঙ্কা ও ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মনে হচ্ছে, রাষ্ট্র, সরকার ও রাজনীতির দায়িত্বশীল পক্ষগুলো দায়িত্বশীল আচরণ করছে না। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যে মাত্রায় জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় বসেছে, তার নজির বাংলাদেশে নেই। পতিত ও পরাজিত পক্ষ ছাড়া দেশের সব রাজনৈতিক দল এই সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে যে সরকারের হওয়ার কথা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী সরকার আজ সরকার যখন মেয়াদের ১০ মাসের দিকে এগোচ্ছে, তখন এর উল্টোটাই মনে হচ্ছে। জনগণ এখন সরকারকে দুর্বল ভাবতে শুরু করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের পর মানুষের মনে যে আশা জেগেছে, তার বাস্তবায়ন তারা দেখছে না এমন অভিযোগ অনেকের। সরকার সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, সরকারি কাজকর্ম ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়বে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং সবচেয়ে বড় কথা, একই সঙ্গে নির্বাচনের জন্য দরকারি সংস্কার এবং গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার কাজেও অগ্রগতি দৃশ্যমান থাকবে এসবই মানুষ দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু দেশে এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মবের কর্তৃত্ব অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। অতি দ্রুত এসব সমস্যার সমাধানের প্রয়োজন। নির্বাচনের যেহেতু এখনো অনেকটা সময় বাকি, তাই সমঝোতার সময় রয়েছে। আমি মনে করি, সকল পক্ষেরই উচিত এ সময়টাকে কাজে লাগানো। নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। কেউ বলছে অতি দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে, আবার অপারপক্ষ টি বলছে সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। এছাড়া আর একটি পক্ষ বলছে আগে জুলাই আগস্ট এর গণহত্যাকারীদের বিচার হবে তারপর নির্বাচন হবে। এখন আপনারাই বলুন সরকার কোন দিকে যাবে। বিশেষত প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল পরস্পরের প্রতি আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতির অবসান না ঘটলে তা দেশ ও জনগণের জন্য অশুভ পরিণতি বয়ে আনতে পারে। ইতিমধ্যে অন্তত কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড্.মুহাম্মদ ইউনুস প্রধান উপদেষ্টার পথ থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। তবে সকলের অনুরোধে তিনি পদত্যাগ করছেন না। এমন পরিস্থিতিতে গোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে দেশ বিরোধীরা। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সমজোতার অভাব ও দূরত্ব ক্রমেই ভেড়ে চলেছে। ক্রমেই আস্থাহীন হয়ে পড়ছে একে অপরের বিরুদ্ধে। যদিও সরকার বারবার তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে তবুও কোন ফল হচ্ছে না। আর এই সুযোগে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলো সুযোগ নিচ্ছে বা নেওয়ার চেষ্টা করছে। যেমন ভারত বাংলাদেশের সাথে বৈরিতা ভাব করছে। এ সব কারনে চরম বিপাকের মধ্যে রয়েছে জনসাধারণ। একদিকে দ্রব্যের মুল্য বৃদ্ধি অপরদিকে রাজনৈতিক সমস্যায় কোন কুল কিনার করতে পারছে না সর্বস্তরের সাধারন জনসাধারণ। রাজনৈতিক দল ব্যতীত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কল্পনা করা যায় না। দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের উপর যে কোন সরকার ব্যবস্থার সাফল্য নির্ভর করে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের সাথে কার্যকরী নেতৃত্ব আবশ্যকীয়। এই ইউনিটের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী ও সুশাসন নিশ্চিতকরণে নেতৃত্বের ভূমিকা বিশ্লেষণ অতি প্রয়োজন । আমি মনে করি গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে একটি নিরপেক্ষ অবাক সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজন। আর সে পরিবেশ অতি দ্রুত সৃষ্টি করতে হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংলাপের প্রয়োজনীয়তার অনেক বেশী । কারন রাজনৈতিক দলগুলি মধ্যে সমজোতা না হলে দেশের চরম ক্ষতি হবে। সাধার জনগণের জান ও মালের হানীর সম্ভানা বেড়ে যাবে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আদৌ কি সংলাপ বা সমজোতা করা সম্ভব? আর এই সংলাপ বা সমজোতা হলে তা কিভাবে হতে পারে, কারা সংলাপ বা সমজোতা দায়ভার নিয়ে সফল করবে? এমন অসংখ্য প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এসব বিষয়ে বিভিন্ন মহলে প্রতিনিয়ত আলোচিত । গত ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের সময় অভ্যুত্থানের স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর একটিই লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন। অন্য কিছু বিষয়ে কোনো সমঝোতা ছিল না। গত বছর অক্টোবরের প্রথমদিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের অপপ্রচার, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের আহবান জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।এরপর এ ধরনের উদ্যোগ আর দেখা যায়নি। আমার মনে হয় নিয়ন্ত্রণের অভাবে দেশে অনেক রকম সমস্যা হচ্ছে। এটা বন্ধ করার একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। যত দিন যাচ্ছে ততই শাসনব্যবস্থার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আলগা হয়ে যাচ্ছে। ফলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না দিলে সামনের দিনে নৈরাজ্য বেড়ে পরিস্থিত আরো খারাপ হবে হতে পারে। মৌলিক সংস্কার করতে গেলে সরকারের কিছু ক্ষমতা প্রয়োজন হয়। কিন্তু সে ধরনের ক্ষমতা বর্তমান সরকারের নেই। যেমন সংবিধান সংস্কার একটি অনির্বাচিত সরকার করতে পারে না। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়ে তা করতে হবে। আর তা নির্বাচন ছাড়া সম্ভব না। এই সরকারের অন্যতম কাজ হলো নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়া। বিগত সরকার গুলো ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। গণতান্ত্রিক নির্বাচন রাজনৈতিক দলের সংলাপ, সমঝোতা ও জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আসতে হবে। আর এক্ষেত্রে সরকার কে থাকতে হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। সরকারের ভিতর থেকে যদি কোন রাজনীতির দলকে সহযোগিতা করা হয় তাহলে তো আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই এটাই স্বাভাবিক। সরকারের উচিত এসব বিষয় মাথায় রেখে উপদেষ্টা পরিষদ প্রয়োজনে ঢেলে সাজানো। যেহেতু দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার বিধিবদ্ধ করে রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচনি গণতন্ত্রে ফিরে যেতে চায়, তাই তাদের স্বার্থেই সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। সকল দলের মতামতের ভিত্তিতে একটি নির্বাচনীয় রোড ম্যাপ করতে হবে। এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক আলোচনা সভায় বলেছেন,আগামী ডিসেম্বরের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। তিনি আরো বলেন,পতিত স্বৈরাচার আর কোনোভাবেই যেন ফিরতে না পারে, সেটাই হোক প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশে অর্থবহ কিছু সংস্কার করা লাগবে এবং কিছু বিচার করা লাগবে। এই সংস্কার ও বিচারের মধ্য দিয়েই একটা নির্বাচন হবে, যেই নির্বাচনে একটা সমতল মাঠ থাকবে। এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অতিদ্রুত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে,জুলাই আন্দোলনে যারা আহত ও শহীদ হয়েছেন তাদের পুনর্বাসন বাস্তবায়ন করতে হবে,শেখ হাসিনার আমলে যে সকল নির্বাচন হয়েছিল সকল নির্বাচনগুলোকে আইনগতভাবে অবৈধ ঘোষনা করতে হবে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে সমস্য কোথায়
সরকারের ভেতরে একটি অংশও যেহেতু দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পক্ষে, তাই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। শুধু রাজনৈতিক দলগুলো নয়, গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মূল অংশী হিসেবে আমরা যাদের বিবেচনা করতে পারি (সরকার, সশস্ত্র বাহিনী, বিএনপি, এনসিপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি), বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মধ্যেও বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে পড়েছে। এই ঘোলাটে পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার জন্য কোনো না কোনো পক্ষ যে ওত পেতে আছে, সেই শঙ্কার কথা আগেই বলেছি। দেশের বিভিন্ন গোষ্ঠীর যৌক্তিক-অযৌক্তিক ও বিচিত্র দাবিদাওয়া নিয়ে হাজির হওয়া, মব সৃষ্টি, কথায় কথায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি বা কর্মসূচির হুমকি, বন্দরের পরিচালনা বিদেশিদের দেওয়া না দেওয়া, রাখাইন রাজ্যের জন্য করিডর ইস্যু, ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি যে জটিল হয়ে পড়েছে, তা দেশের মানুষ টের পাচ্ছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কি এখন বিএনপি ও এনসিপির বিরোধ বা এ নিয়ে কোনো সংঘাতের ভার গ্রহণ করার মতো অবস্থায় রয়েছে?গণ-অভ্যুত্থানে প্রাণ দেওয়া হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো ক্ষুদ্র বা গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠবে, রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দেবে, সে আশা কি আমরা করতে পারি না? বর্তমান উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা কাটাতে এবং সম্ভাব্য সংঘাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে সরকার, সেনাবাহিনী, বিএনপি ও এনসিপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি এই অংশীগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত কোথা থেকে এসেছে কিংবা কে বা কারা নেয় তা বোঝা যায় না। সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি যেন একটা উদ্বেগজনক সীমায় এসে হাজির হয়েছে। রক্তপাত, প্রাণনাশ, মানুষের আত্মদান সেগুলোর কাছে আমাদের দায় আছে। আমাদের দায়িত্ব সেই এবং দায়িত্বের জায়গা থেকেই আমরা আশা করি যে সবাই তাদের নিজস্ব জায়গা থেকে এটা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমঝোতা দেখতে চায় জাতি।
লেখক ও গবেষকঃ
আওরঙ্গজেব কামাল
সভাপতি
ঢাকা প্রেস ক্লাব