রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
করিমগঞ্জে জামায়াতের গণসংযোগ। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত টুঙ্গিপাড়ায় অপহরণ চক্রের মূল হোতাসহ একাধিক মামলার দুই আসামি গ্রেফতার। বার বার নির্বাচিত পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য গাজী আবদুল হান্নানের পক্ষ থেকে অগ্রীম ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা। নারায়ণগঞ্জে তাতীদলের কর্মীসভা। রাস্তার বেহাল দশার কথা শুনে ছুটে যান নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন সাত্তার। জীবননগর থানাধীন গোপালনগরে’ওপেন হাউজ ডে’ অনুষ্ঠিত। বোরহানউদ্দিনে মানবতার আলোকবর্তিকা সমাজসেবক মোঃ কবির পালোয়ান: রাজনীতি নয়, মানুষই তার মূল প্রতিশ্রুতি পশুরহাট ইজারাদার,খামারী ও ব্যবসায়ীদের সাথে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়। লতিবাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলড্রেস বিতরণ,

আবুজর গিফারী কলেজের সভাপতি মামুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ।

বিশেষ প্রতিনিধিঃ আবুজর গিফারী কলেজের সভাপতি মামুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ ও নতুন সভাপতি নিয়োগ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেন আবুজর গিফারী কলেজের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক , ছাত্র ও অভিভাবক । তারা সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী এর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেন এবং তাকে অপসারনের দাবি তুলেন। তারা বলেন বর্তমান কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী মাত্রাতিরিক্ত অসৌজন্য মূলক ও রূঢ় আচরণ, বিভিন্ন অনিয়মকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া, কলেজের প্রশাসনিক কাজে প্রতিনিয়ত অযাচিত ভাবে হস্তক্ষেপ, শিক্ষকদের মাঝে গ্রুপিং ও কোন্দল সৃষ্টি, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কলেজের পরিবেশ অস্থিতিশীল করা, স্বৈরাচারের দোসর ও কলেজের দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের সাথে পরামর্শক্রমে কলেজের সমস্ত কর্মকান্ড পরিচালনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে করেন যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছি এবং তাকে অপসারনের দাবি তুলছি। কলেজের বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষক-কর্মচারী ও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত নতুন সভাপতি নিয়োগ এর জোর দাবি জানান
‎আবুজর গিফারী কলেজের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক ও অভিভাবক । বর্তমান কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি জনাব মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী এর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ ও নতুন সভাপতি নিয়োগ প্রসঙ্গে আবুজর গিফারী কলেজের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক , ছাত্র ও অভিভাবক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য বরাবর আবুজর গিফারী কলেজের সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ ও নতুন সভাপতি নিয়োগ প্রসঙ্গে আবেদন করেন।
আবেদন পত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয় গুলো ছিলো:
‎বর্তমান কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি জনাব মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী মাত্রাতিরিক্ত অসৌজন্য মূলক ও রূঢ় আচরণ, বিভিন্ন অনিয়মকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া, কলেজের প্রশাসনিক কাজে প্রতিনিয়ত অযাচিত ভাবে হস্তক্ষেপ, শিক্ষকদের মাঝে গ্রুপিং ও কোন্দল সৃষ্টি, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কলেজের পরিবেশ অস্থিতিশীল করা, স্বৈরাচারের দোসর ও কলেজের দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের সাথে পরামর্শক্রমে কলেজের সমস্ত কর্মকান্ড পরিচালনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ। এ সব অপকর্ম থেকে কলেজের বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষক-কর্মচারী ও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত বর্তমান কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি জনাব মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী এর অপসারণ চেয়ে ও নতুন সভাপতি নিয়োগ প্রসঙ্গে। আবুজর গিফারী কলেজের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক , ছাত্র ও অভিভাবক ও ‎জনাব মোঃ আবুল মনসুর (দাতাসদস্য, কলেজ গভর্নিং বডি) ,জনাব মোঃ রবিউল ইসলাম টিপু (কলেজ গভর্নিং বডি) ,মোঃ মনির হোসেন (অভিভাবক সদস্য, কলেজ গভর্নিং বডি),মুনীর আহমদ খান (অভিভাবক সদস্য, কলেজ গভর্নিং বডি) ,গোলাম সারোয়ার (অভিভাবক সদস্য, কলেজ গভর্নিং বডি) ,মোঃ ফরিদ আহমেদ (শিক্ষক প্রতিনিধি, কলেজ গভর্নিং বডি),মোঃ রুহুল কুদ্দুছ (শিক্ষক প্রতিনিধি, কলেজ গভর্নিং বডি) জুলেখা বেগম (শিক্ষক প্রতিনিধি, কলেজ গভর্নিং বডি) অভিযোগ গুলো তুলে ধরেন।
তারা আরো বলেন ও অভিযোগ করেন: এক রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের ক্ষমতাচ্যুতি ও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎসবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক জনাব মোহাম্মদ মামুন চৌধুরীকে আবুজর গিফারী কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্তৃক মনোনিত বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক জনাব আলী মোহাম্মদ কাওসারকে মনোনয়ন দেয়া হয় এবং ১৯ মার্চ, ২০২৫ তারিখ তাদেরকে গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়। উল্লিখিত দুজন সম্মানিত সদস্য দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই নানা অনিয়মকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কলেজের পরিবেশ অস্থিতিশীল করে তুলেছেন তার কিছু দৃষ্টান্ত নিম্নে উপস্থাপন করা হল- বিভিন্ন সময় অধ্যক্ষকে হুমকি দিতেন সভাপতির কথামতো (অনৈতিক প্রস্তাব) না চললে চাকুরিচ্যুত করার। এডহক কমিটির মেয়াদের শেষ দিন অর্থাৎ ১০ মার্চ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে সভাপতির একক সিদ্ধান্তে কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়কে সাময়িক অব্যাহতি দেন এবং উপাধ্যক্ষ কে তার চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রলোভন দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অর্পন করেন যা পুরোপুরি অবৈধ। উপাধ্যক্ষ মহোদয় চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধির লোভে পড়ে সভাপতির নির্দেশে অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এডহক কমিটির ০৯/০৩/২০২৫ তারিখের সভা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎসবিজ্ঞান বিভাগে অনুষ্ঠিত হওয়া কথা ছিল। সকল সদস্য উপস্থিত হলে সভাপতি মহোদয় দাতা সদস্যকে তার কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলেন এবং তিনি সভা করবেন না বলে জানান। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও সভাপতি মহোদয় সভা আহ্বান করেননি। আর যখনই সভা আহ্বান করা হলো তখন সভাপতির অনুকূলে থাকা আওয়ামীলীগপন্থী শিক্ষকদের অনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইতেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবে সভা আহ্বান করায় ১১ সদস্য বিশিষ্ট গর্ভনিং বডির ৬ জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। বিধি মোতাবেক ৬ জন সদস্যর উপস্থিতিতে কোরাম হওয়ার কথা কিন্তু তারা নিয়ম না মেনে পাঁচ জন সদস্য নিয়ে সভা পরিচালনা করেন। এমতাবস্থায় সভা অনুষ্ঠান অবৈধ হলেও সভাপতি মহোদয়, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত), বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও দুজন শিক্ষক প্রতিনিধি সভা সম্পন্ন করে আরেকজন সংরক্ষিত নারী সদস্যের বাসায় উপস্থিত হয়ে তাকে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। উল্লেখ্য যে, সংরক্ষিত নারী শিক্ষক সদস্য অসুস্থতাজনিত কারণে সভায় অনুপস্থিতির অনুমতি দেওয়ার পরও সভাপতি মহোদয় এবং বিদ্যোৎসাহী সদস্য আলী মোহাম্মদ কাওসার তাকে উপস্থিত হতে জোর করেই ক্ষান্ত হননি তাকে চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দেন এবং শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বন্ধের হুমকি দেন। এডহক কমিটির প্রতিটি সভাতে যোগদানের জন্য সভাপতির সম্মানী ৬০০০

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।