মোঃসাদ্দাম হোসাইন সোহান।
বিশেষ প্রতিনিধি, ২৯ অগাষ্টঃ

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন সহ ওই অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সিভিল সার্জন ডা. মো: ছিদ্দিকুর রহমান কে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা সিভিল সার্জন, জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গনেষ আগারওয়ালা, জেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর বজলুর রশীদ, প্রধান সহকারি সরদার জালাল উদ্দিনের নানা দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানায় শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ, এসকল কর্মকর্তারা সরকারী চাকরী বিধি মালার তোয়াক্কা না করে তদবির ও শুপারিশ করে বছরের পর বছর কেউ কেউ ১ যুগেরও বেশী সময় একই চেয়ারে বসে আছেন। জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে চাদাবাজী, চাকরী দেয়ার কথা বলে নারীদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক, নারী উদ্যোক্তাদের হয়রানী, রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকান থেকে মাসিক টাকা নেয়া, লাইসেন্স এর জন্য চুক্তিকরে টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল থেকে মাসোয়ারা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের মনগড়া তালিকা করে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সিভিল সার্জন আহতদের তালিকায় তার ছেলের নাম দিয়েছেন। অথচ যারা আহত হয়েছে এমন ২০-২৫ জনের নাম তালিকায় দেওয়া হয়নি। এছাড়া তালিকায় যাদের নাম দেওয়া হয়েছে তাদের ঠিকানাও দেওয়া হয়নি। সিভিল সার্জন তার মত করে তালিকা পাঠিয়েছেন, যাতে করে কোন আর্থিক সহযোগিতা আসলে তিনি আত্মসাত করতে পারেন।

পরে শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটি করতে তিন ঘন্টা সময় দিয়ে সিভিল সার্জন অফিস ত্যাগ করে। এরপরেই সিভিল সার্জন ডেপুটি সিভিল সার্জন এর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে ছুটিতে চলে যান।