মোঃ জহুরুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক।

০৫ অক্টোবর ২০২৪ (শনিবার) কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাওয়ার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী রুবেল হোসেন (২২) হত্যার ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা হয়েছে। নিহত রুবেলের বাবা (২ অক্টোবর) বুধবারে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে, ঘটনার পরপরই রুবেলের ওই মেস থেকে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। (৩ অক্টোবর) বৃহস্পতিবারে আটককৃত আসামীরা আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- খোকসা উপজেলার আমবাড়ীয়া ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামের ফজলুর রহমান মন্ডলের ছেলে রাইসুল ইসলাম, গোশাইডাঙ্গা রাজুল সর্দ্দারের ছেলে রাব্বি, বৈরাগীপাড়া করিম প্রামানিকের ছেলে হৃদয় হোসেন, রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার ধুনিয়াট মৌরাট এলাকার আকবর হোসেন বিশ্বাসের ছেলে আনিসুর রহমান অনিক ও মেহেরপুর জেলার মল্লিকপাড়া গ্রামের মামুনুর রশিদের ছেলে তাহসান রশিদ ওরফে নাবিল। আটককৃতরা নিহতের সম্পর্কে রুমমেট হিসেবে একই সঙ্গে পড়াশোনা করত।

বাদীর এজাহার সূত্রে জানা যায় (১ অক্টেবর) মঙ্গলবার রাত অনুমান সাড়ে ১১টার সময় কে বা কারা কুষ্টিয়া শহরের নারিকেলতলা এলাকার বনফুড বেকারীর সামনে লিটুর চারতলা বাড়ির ছাদ থেকে কলেজ শিক্ষার্থী রুবেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখে গামছা, হাতে পায়ে রশি দিয়ে বেঁধে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাৎক্ষনিকভাবে কলেজ শিক্ষার্থী রুবেলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে রাতে মারা যায় সে।

এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই (নিঃ) অলোক রায় তদন্ত সাপেক্ষে মামলার তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে উক্ত ঘটনার পাঁচজন আসামীর জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ হয় এবং তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে (৩ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আমলী আদালতে পাঁচজন আসামীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আসামী পক্ষের আত্মীয় স্বজনেরা আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।

হত্যাকান্ডের কারন সম্পর্কে পুলিশ এখনও সঠিক মোটিভ জানতে পারেননি বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজনেরা। কি কারণে কলেজ শিক্ষার্থী রুবেলের হত্যা করেছে সেটি জানতে পুলিশ সুপারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন তারা। তবে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কলেজের ছাত্র সংগঠনের ছাত্র-ছাত্রীরা (২ অক্টোবর) বুধবার হত্যার সঠিক কারণ জেনে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছেন।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন শিক্ষার্থী হত্যা মামলার তদন্ত চলছে। তবে হত্যার কারণ উল্লেখ করার মত এখনও কিছু পায়নি বলে তিনি জানান।