শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার – বিশেষ প্রতিনিধি।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১২ নং উলপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের, পদ্ধবিলে আশ্রয়ন প্রকল্পে ৭৯ টি ঘরের নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
যদিও উক্ত কাজ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন সদর উপজেলার সম্মানিত (ইউএনও)উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
কিন্তু প্রকল্পটির সার্বিক নির্মাণ কাজের দ্বায়িত্বে ছিলেন সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিআইও,)।
স্বরজমিনে গিয়ে জানাযায়, প্রকল্পটির অধিকাংশ ঘর নির্মাণে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম।
যেমন টিনের চালা তৈরীতে নিয়মবর্হিভূত পন্থায় স্ক্রু পিটিয়ে দেওয়া হয়েছে,নিন্মমানের কাঠ ও টিন ব্যবহার করা হয়েছে, কিছুটিনে ইতিমধ্যে মরিচা পরেছে,এছাড়াও অধিকাংশ ঘরের প্লাস্টার হাতের স্পর্শে ঝরে যাচ্ছে।
উক্ত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে বসবাসরত মানুষেরা আরও জানান যে,হাতেগোনা দুই- চারটি ঘর ব্যাতীত বাকি ঘর গুলোতে লিনটন ঢালাইয়ে যে রড ব্যবহার করার কথা তা করা হয়নি,
তারা নিশ্চিত করে বলেন চাইলে ভেঙে দেখতে পারেন আমরা ১০০% গ্যারান্টি দিচ্ছি।
ঘরের রং এর বিষয়ে বলেন প্রতিটি ঘরে যে রং ব্যবহার করা হয়েছে সেটা আসলে রং নয়,বিশেষ করে ঘরের ভীতর সাইডে সাধারণ সাদা চুনের একটা প্রলেপ দিয়েছেন, যা হাতের স্পর্শ হলে কিংবা গায়ে ছোঁয়া লাগলে জামাকাপড়ে লেগে যায়।
এলাকাবাসী বলেন যেভাবেে প্রকল্পটির ঘরগুলো নির্মাণ কাজ করা হয়েছে তাতে স্বল্পসময়ে ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে বলে মনেকরছেন তারা।
উক্ত এলাকার কিছু লোক নামপ্রকাশ্যে অনিচ্ছুক জানান যে,এই প্রকল্পে এমন কিছু লোকদের ঘর দেওয়া হয়েছে যাদের নিজস্ব জায়গা সম্পত্তি রয়েছে তারা ভূমিহীন নন। এবং আগের পুরাতন ঘরগুলোর সামান্য কিছু টিন নিয়ম মেনে টেন্ডার করে বিক্রি করা হয়, পরবর্তীতে বাকি টিনগুলো পিআইও সাহেবের নির্দেশে তার কোন বিশ্বস্ত দুই প্রতিনিধি বিক্রি করে দেন ও টাকা পিআইও সাহেবকে বুঝিয়েদেন ।
উপরোক্ত ব্যাপারে সদর উপজেলা পিআইও সাহেবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে কোন ভাবেই সম্ভব হয়নি,এমনকি সরাসরি অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
সর্বশেষ উক্ত প্রকল্পে বসবাসরত ভুমিহীন অসহায়দের ও এলাকাবাসীর দাবী প্রশাসনের পহ্ম থেকে সঠিক তদন্ত পূর্বক অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িত কে বা কারা সেটা হ্মতিয়ে দেখা হোক।
ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।