অথই নূরুল আমিন

ঢাকা শহর যেন বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। এই রকম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে কোনো সরকার কখনও খুব জোরালোভাবে তেমন পদক্ষেপ নেননি।
সব সরকারের আমলেই দেখেছি। পুরাতন কাপড় যেমন ধুয়ে ইস্ত্রি করে পরার মত অবস্থা। আবার কোনো কোনো জায়গায় জোরা তালি দিয়ে চালিয়ে দেবার মত অবস্থা দেখা গেছে।

ঢাকা শহরের যানজট কমানো আদৌ সম্ভব হবে কিনা এই চিন্তা এখন ঢাকায় বসবাসরত প্রায় সকল জনগণের। বতর্মান সরকারের আমলেও যদি এই ঢাকার যানজট কমানো না যায়। তাহলে ঢাকার যানজট কমানোর আশা হয়তো জনগণের আশা হয়েই থাকবে বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশের কোন উন্নয়ন গবেষণা টিম যথেষ্ট না থাকার ফলে দেশে গাণিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বেকারত্ব। তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে সিন্ডিকেট। তদ্রুপ বৃদ্ধি পেয়েছে যানজট। আসলে বাংলাদেশে কিন্তু বুদ্ধিজীবী ইঞ্জিনিয়ার বড়ো বড়ো সুশীল কম নেই। তবে কেন হচ্ছে না। দেশের বেকারত্ব নিরসন। যানজট এবং সিন্ডিকেট নিরসন?

এখানে রয়েছে এক অমুক প্রতিযোগিতা। যেমন যিনি পদে আছেন। তিনি তো এগুলোর কিছু জানেন না। এবং যিনি জানেন বলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। তাকেও কোনো সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। তার মুল কারণ হলো তাহলে তো আর তিনির মানসম্মান থাকে না। যিনি এখন এ পদে আছেন।

যার ফলে আমরা যুগের পর যুগ যেমন হারিয়েছি সুবর্ণ সুযোগ তেমনি হারিয়েছি অসংখ্য যোগ্য লোক। এখানে আমাদের অহমিকাই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। আজকে ঢাকার যানজট এক মহামারী রোগের সমান রূপ নিয়েছে । যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এখানে বেড়ে চলছে সব ধরনের গাড়ি সিএনজি বাইক অটোরিকশা পেডেল রিকশা ভ‍্যানসহ নানারকম গাড়ি। এই যানজট কমানোর সঠিক সিদ্ধান্ত এখনই না দিলে সামনে খারাপ অবস্থা হবে ঢাকার। এই যানজট কমানোর জন‍্য আমার করা নকশা প্রয়োজনে সরকার ব‍্যবহার ও প্রয়োগ করতে পারে। যা আমার কাছে সংরক্ষিত। এর বদৌলতে মাত্র এক থেকে দেড় বছরের মধ‍্যে যানজট কমে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
প্রিয় পাঠক লেখাটি যদি ভালো লাগে যেকেউ শেয়ার করে দেবেন। যেন সরকারের নজরে আসে। দেশ যেন উপকারী হয়। সবাই ভালো থাকুন।

অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী
১৭ এপ্রিল ২০২৫