মঙ্গলবার, ০৮ Jul ২০২৫, ০১:১০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
রাজশাহীর ভূয়া সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জুলুর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন নবকাম পল্লী কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য হলেন ফরিদ হোসেন। ফরিদপুর বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের ৬০০ মিটার কাঁচা রাস্তায় চরম জনদুর্ভোগ বটিয়াঘাটা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকারি ভরাটী খাল ও নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদে সরেজমিনে পরিদর্শন সমাজ সেবা ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য Star Bangladesh Award 2025 সম্মাননা এওয়ার্ড গ্রহণ করলেন মোঃ হুমায়ুন কবীর মৃধা! খুলনা কেএমপির হরিণটানা বাবলু দত্ত হত্যায় সম্পৃক্ত ২ জন আসামী গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার। ঢাকার আদাবর-১০ মাদক ডিলার টুন্ডা বাবুর হুমকি ব্যবসায় সহযোগিতা না পেলে এলাকাবাসীকে করবে হত্যা কিশোরগঞ্জে ৩দিনব্যাপী ফল মেলা উদ্ভোধন ও আলোচনা সভা, খুলনার বটিয়াঘাটায় বিএনপি নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন। মিরসরাই এর মহামায়ায় প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড পি,এল,সি, এর অর্ধবার্ষিকী উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় আবারও চালের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ,প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন।

বিশেষ প্রতিনিধিঃ মো: জাহিদ হাসান।

উত্তরের শস্যভাণ্ডার খ্যাত নওগাঁয় আবারও চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জেলার মোকামগুলোতে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৩-৪ টাকা। সারাদেশের মোকামে আকস্মিক চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চালের এ মূল্যবৃদ্ধি বলছেন মিলমালিকরা। ধানের সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত সহসাই দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন তারা। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, খাদ্যশস্য লাইসেন্স ছাড়াই যত্রতত্র অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুতে মেতে উঠেছে একটি অসাধুচক্র। একই সঙ্গে বেশ কিছু মিলমালিক কমদামে কেনা ধান দীর্ঘদিন ধরে মজুত রেখেছেন। এতে বাজারে কমেছে ধানের সরবরাহ। যার প্রভাবে সৃষ্ট কৃত্রিম সংকটে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম।
শহরের পার নওগাঁ মহল্লার আড়তদারপট্টিতে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে প্রতি কেজি চালের দাম ৩-৪ টাকা বেড়েছে। দাম বাড়ার পর বর্তমানে প্রতি কেজি জিরাশাইল ৬৫-৬৭ টাকা, কাটারীভোগ ৬৮-৭৩ টাকা, সুবর্ণলতা ৬৩-৬৪ টাকা, ব্রিধান-২৯ ৫৭-৫৮ টাকা এবং স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৫৪-৫৫ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে এই মোকামে প্রতি কেজি জিরাশাইল ৬৪-৬৫ টাকা, কাটারীভোগ ৬৫-৭০ টাকা, সুভলতা ৬০-৬১ টাকা, ব্রিধান-২৯ ৫৪-৫৬ টাকা এবং স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৫০-৫৫ টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছে। খাদ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত বছরের ১১ জুলাই সংসদে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন-২০২৩ পাস হয়। ওই আইন অনুযায়ী কেউ অবৈধভাবে খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুত সংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি আর্থিক বা অন্য কোনো প্রকার লাভের উদ্দেশ্য ছাড়াই মজুত করেছিলেন এমনটি প্রমাণ করতে পারলে সেক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব তিন মাসের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। শহরের পার নওগাঁ মহল্লার সততা রাইস এজেন্সির আড়তদার সুকুমার ব্রহ্ম বলেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের পর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোকাম থেকে নওগাঁ মোকামে চালের চাহিদা বেড়েছে। হঠাৎ করেই চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতাও বাড়ছে ।গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানেপাইকারি পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি চালের দাম ২-৩ টাকা বেড়েছে। শহরের সুলতানপুর মহল্লার মোল্লা অটো- মেটিক রাইস মিলের মালিক হাসান মোল্লা বলছেন, মজুতবিরোধী অভিযানের নামে বিগত দিনে যে হয়রানি হয়েছে সেটি করলে চালের বাজারে আরও প্রভাব পড়তে পারে। মিলাররা যদি ক্ষুব্ধ হয়ে চাল উৎপাদন বন্ধ করে দেন সেক্ষেত্রে এর চরম মূল্য দিতে হবেভোক্তাদের। তাই আগামীতে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত চালকল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করা। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নওগাঁ জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী বেলাল বলেন, ধান-চালের বড় একটি মোকাম হওয়ায় নওগাঁয় একশ্রেণির অবৈধ মজুতদারের বড় একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। আগে এ সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী লীগের আমলেই সবচেয়ে বেশি হেরফের হয়েছে চালের বাজার। তিনি বলেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের পর প্রশাসনের নজদারির অভাবে ওই সিন্ডিকেট আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে শুরু করেছে। খাদ্যশস্য লাইসেন্স ছাড়াই যত্রতত্র অবৈধভাবে প্রচুর পরিমাণে ধান ও চাল মজুত করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে তারা। প্রশাসনের মজুতবিরোধী অভিযান এবং মজুত আইনের যথাযথ প্রয়োগ ছাড়া এ সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব নয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।