শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি –
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দহ্মিন
বড়ইবুনিয়া গ্রামে শাহীন আলম শেখ নামের এক ব্যবসায়ীর মাদক কারবারির প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এবং এলাকার লোকের কাছে সেটা প্রকাশ করায় গুন্ডা ভাড়াকরে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করান আপন বড়ভাই শাহীন শেখ,এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে এলাকাসূত্রে।ঘটনাটি ঘটেছে ১৩-১০-২৪ ইং,তারিখে নাজিরপুর উপজেলার ১ নং মাঠিভাঙ্গা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ভাইজোড়া স্টান্ডে।স্বরজমিনে গিয়ে জানাযায়, মোঃদেলোয়ার হোসেন শেখ এর ছেলে শাহীন আলম শেখ ও শামীম শেখ আপন দুইভাই,শাহীন আলম শেখ বর্তমানে ঢাকায় বসবাসরত রয়েছেন,সেখানে তিনি বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন বলে জানাযায় এলাকাসূত্রে, এবং বিগত সময়ে স্থানীয় কোন এক আওয়ামী লীগ নেতার সাথে ছিলো তার নাকি দহরমমহরম সম্পর্ক।তার মাধ্যমে তিনি ঢাকায় অবস্থান করেন বলে জানান এলাকাবাসী। তারপরে স্বল্পসময়ে তার ব্যাপক অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটে।তিনি নিজ এলাকায় বিলাশবহুল বাড়ি নির্মান সহ বিভিন্ন প্রকারের সম্পত্তির মালিক হন।তার ছোট ভাই শামীম শেখের বক্তব্যেরমাধ্যমে জানাযায় যে,শাহীন আলম শেখ তিনি তার ছোট ভাই শামীম শেখ কে একটি ব্যবসার প্রস্তাব দেন।এবং তারমত অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রলোভন দেখান।ব্যবসাটি অবৈধ মাদক ব্যবসা হওয়ার কারনে শামীম শখ রাজি না হওয়ায় এবং তাকে বাধ্য করার চেষ্টা করলে তিনি তার এলাকার কিছু নিজস্ব আপনজনদের সঙ্গে বিষয় টি শেয়ার করেন।এটাই ছিলো নাকি তার অপরাধ।শামীম শেখ আরও বলেন আমার বড়ভাই শাহীন আলম শেখ এই বিষয়টি কে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমার অবাধ্য হিসেবে তৈরী করেন এবং অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করেন।বিষয়টি শামীম শেখ যখন জানতে পারেন এবং নিশ্চিত হন তখন শামীম শেখ তার স্ত্রীকে তালাক দেন বলে সাংবাদিকদের বলেন শামীম শেখ।স্ত্রী তালাকপ্রাপ্ত হয়ে তার ভাসুর শাহীন আলম শেখের আশ্রয়ে বর্তমানে ঢাকাতে রয়েছে বলে জানাযায় । শুধু এতেই খ্যান্ত হননি শাহীন আলম শেখ। টাকার বিনিময়ে স্থানীয় চিহ্নিত দাগী বহুমামলার আাসামী পান্না শেখ ওরফে কটা পান্না, তার ছেলে রাজু শেখ সহ তার সহযোগী মো: রবিউল ইসলাম জয়,ফরহাদ হোসেন, আনিচুর রহমান অঙ্কন, মোঃ বাছেদ শেখ, বায়েজিদ শেখ একত্রিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে শাহীন আলম শেখ এর হুকুমে শামিম শেখ কে হামলা করেন,ভাইজোড়া স্টান্ডে,নাজিরপুর সদর থানায় অভিযোগে এমনটাই উল্লেখ রয়েছে ।স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে নাজিরপুর উপজেলা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।পরবর্তীতে শামিম শেখ এদের নাম উল্লেখ পূর্বক নাজিরপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন।উক্ত অভিযোগের বিষয় টি সম্পর্কে নাজিরপুর থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি সত্য, তবে এটা নাকি এলাকাভিত্তিক মীমাংসা করাহবে তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে আর অগ্রসর হইনি।
তিনি আরও বলেন যে,যদি বাদি পহ্ম অভিযোগের ভিত্তিতে সহায়তা চায় তাহলে আমরা আইন অনুসারে পদহ্মেপ গ্রহণ করবো।ভুক্তভোগী মোঃ শামীম শেখ এর ভাই শাহীন আলম শেখের সাথে মুঠোফোনে উক্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন,আমাকে উদ্দেশ্যমূলক হয়রানি করার জন্য আমার ছোট ভাই এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।অথচ এই শাহীন আলম শেখের এলাকা সাধারন মানুষ ও তার নিজ গর্ভধারীনি মা বলেন, আমার ছোট ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মেঝছেলে হামলা করিয়েছে, সে তো হিসেবে মারাই গিয়েছে বললে চলে,কারন সন্ত্রাসীদের হামলায় আমার শামীম রাস্তায় পরেছিলো, তিনি আরও বলেন থানায় অভিযোগ করে কোন ফল না পাওয়ায় আমি ও আমার ছোট ছেলে শামীম আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার নাজিপুর তার বরাবর ও বিচারের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।এলাকার সুশীল জনসাধারণ ও ভিকটিম শামীম শেখের পরিবারের একটাই দাবী আইনের মাধ্যমে এর সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচারের।