ইন্দ্রজিৎ টিকাদার

বটিয়াঘাটা(খুলনা)প্রতিনিধি।

বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের শেখ সোহেলের নেতৃত্বে গঠিত দখলবাজ বাদশা সানা ও তার ভাই রুহুল সানা কর্তৃক জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার বেলা বারোটায় জলমা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্দ্যোগে এক সাংবাদিক সম্মেলন স্থানীয বিআরডিবি হল রুমে অনুষ্ঠিত হয় । সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জলমা ইউনিয়ন বিএনপির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আসাবুর হাওলাদার । লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জলমা ইউনিয়নের শেখ সোহেলর গঠিত দখলবাজ বাদসা সানা ও তার ভাই রুহুল সানা আ'লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষের জমিজমা - ঘরবাড়ি দখলবাজি করে চালিয়ে আসছিল । তারই ধারাবাহিকতায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীর আত্মীয় মোঃ আনোয়ার হোসেনের কবলা দলিল মূলে খরিদকৃত ভোগদখলে থাকিয়া বিল্ডিং বাড়ি তৈরি করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ পূর্বক ঘরে ভাড়াটিয়া দেয় । কিন্তু ফ্যাটিস্ট আ'লীগের উক্ত দখলবাজরা জেলা বিএনপি নেতার আত্মীয় মোঃ আনোয়ার হোসেনের বসত বাড়ি ভূয়া কাগজ তৈরি করে আত্মীয়ের পরিবার ও ভাড়াটিয়াকে ঘর থেকে বের করে দেয়ার পাঁয়তারা করছে এবং জীবন নাসের হুমকি অব্যাহত রয়েছে । এব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী-কে দখলবাজ বাদসা ও তার ভাই রুহুল সানা মিলে জীবন নাসের হুমকি অব্যাহত রয়েছে। বিগত ৫ আগস্ট আ'লীগ সরকারের পতনের পর থেকে উক্ত বাদস ও তার ভাই রুহুল সানা নিজেকে বিএনপির জলমা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নেতা হিসেবে দাবি করছে । এব্যাপারে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে বলেন, তারা আ'লীগের শেখ সোহেলর গঠিত দখলবাজ এবং তারা কোন দিন বিএনপির সাথে সংপৃক্ততা নেই এবং কোনদিন ছিল না । অথচ ৫ আগস্টের পর থেকে বাদসা সানা ও তার ভাই রুহুল সানা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মনিরুল হাসান বাপ্পীর বিরুদ্ধে বিএনপির দলীয় উর্দ্ধতন নেতা সহ সংবাদকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে নেতা হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছে । আমি সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে উক্ত বাদশা সানা ও তার ভাই রুহুল সানার বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি । এসময় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম-আহবায়ক এজাজুর রহমান শামীম, সদস্য সচিব খন্দকার ফারুক হোসেন, যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ সাইফুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ বাহাদুর মুন্সী, বিএনপি নেতা যথাক্রমে আলহাজ্ব আবুল হোসেন, এসএম রুহুল মোমেন লিটন, মোল্লা ইমরান আহমেদ, শেখ আবুল হোসেন, পলাশ মহলদার, আলী হোসেন, শেখ দেলোয়ার হোসেন, নূর আলম ভূইঁয়া, জুয়েল আকন, আমিনুল ইসলাম সজীব, সুমন খান, শফিকুল ইসলাম প্রমূখ।