মঙ্গলবার, ০৮ Jul ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
রাজশাহীর ভূয়া সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জুলুর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন নবকাম পল্লী কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য হলেন ফরিদ হোসেন। ফরিদপুর বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের ৬০০ মিটার কাঁচা রাস্তায় চরম জনদুর্ভোগ বটিয়াঘাটা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকারি ভরাটী খাল ও নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদে সরেজমিনে পরিদর্শন সমাজ সেবা ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য Star Bangladesh Award 2025 সম্মাননা এওয়ার্ড গ্রহণ করলেন মোঃ হুমায়ুন কবীর মৃধা! খুলনা কেএমপির হরিণটানা বাবলু দত্ত হত্যায় সম্পৃক্ত ২ জন আসামী গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার। ঢাকার আদাবর-১০ মাদক ডিলার টুন্ডা বাবুর হুমকি ব্যবসায় সহযোগিতা না পেলে এলাকাবাসীকে করবে হত্যা কিশোরগঞ্জে ৩দিনব্যাপী ফল মেলা উদ্ভোধন ও আলোচনা সভা, খুলনার বটিয়াঘাটায় বিএনপি নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন। মিরসরাই এর মহামায়ায় প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড পি,এল,সি, এর অর্ধবার্ষিকী উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত

বাগেরহাটের বিআরটিএ অফিসের দুই কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের তথ্য ফাঁস।

মোঃ জুয়েল খান খুলনা বিভাগীয়।

বাগেরহাটের বিআরটিএ অফিসের অফিসার উপ-পরিদর্শক ইন্সপেক্টর রনজিৎ হালদার, পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেন্দ্র নাথ হালদার।
একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে ও তিনি বাগেরহাট বিআরটিএ অফিসে২০২২ সালে জয়েন্ট করার পর থেকেই শুরু হয় দুর্নীতির কাহিনী বিভিন্ন সময়ে মোটা অংকের ঘুষ খেয়ে বেনামী গাড়িগুলিকে ফিটনেস দিয়েছেন।
বলে তথ্য পাওয়া গেছে যে সকল বেনামী গাড়ির ফিটনেস দিয়েছেন তার মধ্যে গাড়িগুলি হল ঢাকা মেট্রো জ ১১-১২৮১ ঢাকা মেট্রো জ ১১-১৪৬৯ ঢাকা মেট্রো জ ১১-২০৭১ ঢাকা মেট্রো ১১০ ৬২৬ ঢাকা মেট্রো ১১-১৮৩৬ ঢাকা মেট্রো ১১-১৭৭১ ঢাকা মেট্রো ১১- ০০৫৬ এখানেই দুর্নীতির শেষ নয়, ঢাকা মেট্রো জ এবং ঢাকা মেট্রো ব নাম্বারের অর্থ শতাধিক গাড়ি রয়েছে বাগেরহাট, মোংলা, রূপসা, মোল্লাহাট, গিলেতলা, রোড সহ বিভিন্ন স্থানে, যে সকল গাড়ির ইঞ্জিন নং- ও চেসিস নং- ঠিক না থাকলেও গাড়ির নাম্বার প্লেট অন্য আরেকজনের লাগিয়ে বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে।
এ ব্যাপারে ফুল সাপোর্ট দিচ্ছেন বাগেরহাট বিআরটিএর এই কর্মকর্তা, মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে সহযোগিতা করছেন বিভিন্ন বাস মালিকদের, আরো রয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটি র রিপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ-বানিজ্য, রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স ঘুষ বাণিজ্য, মূল কথা একটি বিআরটিএ অফিসের যেকোনো কাজে গেলে রনজিৎ হালদারকে মোটা অংকের ঘুষ না দিলে তিনি কোন কাজ করেন না। এ সমস্ত ব্যাপারে রনজিৎ হালদারের সঙ্গে কথা বললে তিনি আমাদেরকে জানান কাজের ক্ষেত্রে ২-৪ টা ভুল হয়তো আমার হয়েছে একজন বিআরটিএ ইন্সপেক্টর হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালনকালে এ সমস্ত ভুল হয়েছে বলে তিনি নিজেই স্বীকার করেন।
রনজিৎ হালদারের গ্রাম: পূর্ব পাড়া উপজেলা কোটালীপাড়া, জেলা গোপালগঞ্জ, রনজিৎ হালদারের পিতা যোগেন্দ্র নাথ হালদার পেশায় একজন গণক হিসেবে এলাকার লোকের কাছে পরিচিত।
রনজিৎ হালদার সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার পর থেকে লুটে নিচ্ছেন জনগণের টাকা।
রনজিৎ হালদারের গ্রামের বাড়ি অর্ধ পাকা এল সিস্টেম ছয় চালা একটি ঘর রয়েছে।
টিনের ঘর হলেও ঘরে দুই খানা এসি লাগিয়েছেন তিনি, রনজিৎ হালদারের বিষয়ে জানতে চাইলে এলাকার লোকজন কেউই মুখ খুলতে চান না অর্ধ পথে বাড়ির পাশের এক লোক মারফত জানা যায় রনজিৎ হালদার দেড় বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
বিবাহিত জীবনে তার রয়েছে একটি কন্যা সন্তান। রনজিৎ হালদারের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেন্দ্র নাথ হালদার, যোগেন্দ্র নাথ হালদারের পিতা সাধন চন্দ্র হালদার গ্রামের বাড়িতে দীর্ঘ কয়েক বছর আগে কিছু না থাকলেও চাকরি পাওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে তার বিভিন্ন উন্নতি এমনকি পার্টনারশিপে খুলেছেন একটি বেসরকারি হাসপাতাল, এছাড়াও কিনেছেন একটি বাইক যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩,৬,০০০ হাজার টাকা তাতেই বোঝা যায় রনজিৎ হালদার আসলেই একজন অসৎ সরকারি কর্মকর্তা এখানেই শেষ নয়।
রনজিৎ হালদারের এই বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের অন্যতম সহযোগী হিসাবে রয়েছেন বিআরটি এর গোপাল মন্ডল প্রতিটি গাড়ির ইঞ্জিন নাম্বার চেসিস নাম্বার মিলিয়ে দেখেন এই গোপাল মন্ডল, এই গোপাল মন্ডল পিতা সুভাষ মন্ডল গ্রামের বাড়ি নাকতাড়া আশাশুনি সাতক্ষীরা মাত্র ২০ মাস চাকরির বয়সে গোপাল মন্ডল গ্রামের বাড়িতে। বিশাল আকৃতির
একটি অর্ধ পাকা ঘর করেছেন যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা চাকরি পাওয়ার বেশ কিছুদিন পরেই গোপাল মন্ডল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এই দুই অফিসারের দুর্নীতির শেষ কোথায় তা অনেকেই জানেন না। বাগেরহাট বিআরটিএর এই দুই নব নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাকরি জীবনের শুরুতেই বেশ কৌশলে এবং ঠান্ডা মাথায় ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। বাবার মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবহার করে রনজিৎ হালদার চাকরিতে এসেছেন এবং গোপাল মন্ডল প্রতিবন্ধী কোঠায় দুইজনেই চাকরি জীবন শুরু করেছেন বাগেরহাট বিআরটিএ চাকরি জীবনের শুরুতেই খুব কায়দা করে চালাচ্ছেন বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের। এই দুই কর্মকর্তার কাহিনী শুনলে মনে হয় এরা যেন মায়ের গর্ভে বসেই ঠিক করে এসেছেন তা না হলে এত সুন্দর কায়দা করে কিভাবে ঘুষ লেনদেন করতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।