মোঃ জুয়েল খান খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি।
বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় পাওয়ার প্লান্ট এলাকা হতে বেশ কয়েকদিন ধরে লোহা চুরির বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। রামপাল পাওয়ার প্লান্ট এলাকা ঘুরে জানা যায় বেশ কয়েকদিন যাবত লোহা চুরির এ যেন এক হরির লুট শুরু হয়েছে পাওয়ার প্লান্ট সীমানার বাইরে অকেজো কয়েক শটন লোহা একত্রে রাখা হয় যে কারণে চোরাই পথে নিতে চোরদের কোন প্রকারের সমস্যাই হয় না এই সমস্ত লোহা চালনা, বাজুয়া, দিগরাজ, রুপসা, লবণচুরা, কাটাখালি সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করা হয় খবর নিয়ে জানা যায় পাওয়ার প্লান্টের শত শত টন লোহা এভাবে চুরি করছে পাওয়ার প্লান্টের পাশের গ্রামের লোকজন সহ বাইরে কিছু সংঘ বহিরাগত চোর সব থেকে মজার বিষয় এ বিষয়ে পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের পদক্ষেপ কেন নিচ্ছেন না বিষয়টা আমাদের অজানা যেখানে এক কেজি লোহা বের হলে অনেক চোরকেই জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে কিন্তু বিগত ১০ থেকে ১২ দিনের চুরির ব্যাপারে পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ নেই যে কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের চোরবাহিনী রাতের আঁধারে দিনের আলোতেও চুরি করার সুযোগ পেয়েছে এ ব্যাপারে লোকাল পুলিশের কিছুটা কার্যক্রম দেখা গেলেও পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথাই নেই বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় এ সমস্ত স্ক্রাব যেখানে রাখা হয়েছে সেই জায়গাটা পাওয়ার প্লান্টের জায়গা নয় যে কারণে যেকোনো এক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জায়গায় এই সমস্ত স্ক্রাব লোহা ফালানো হয়েছে এখন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোম্পানি পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানিকে জাগা খালি করার জন্য বলেছেন বিষয়টা আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি তার পরেও শত শত টন লোহা বিভিন্ন চোরাই পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত বের হচ্ছে এবং এই লোহা গুলি স্ক্রাব হিসেবে বিভিন্ন ভাণ্ডারী দোকানদার কিনে নিচ্ছেন যার কারনে চোরদেরও কোন ধরনের সমস্যাই হচ্ছে না একটি গ্রামের অধিকাংশ লোক যেখানে এই চুরির সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রশাসন কি কিছুই জানেন না নাকি সব জেনেও প্রশাসন চুপ করে রয়েছেন এমনও শোনা গেছে প্রশাসনের কিছু লোক চুরি করতে গ্রামের মানুষকে সহযোগিতা করছেন তার কিছুটা সত্যতা মিলেছে রামপাল পাওয়ার প্লান্ট এরিয়া থেকে যে সমস্ত জায়গায় লোহা গুলিকে বিক্রি করা হচ্ছে এর মাঝে রয়েছে কয়েকটি থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, নৌ পুলিশ ফাঁড়ি, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এত বাহিনী থাকার পরেও কিভাবে অনায়াসে এই চুরি হচ্ছে তা আসলেই কারোরই জানা নেই তবে এটা কি এভাবেই চলবে নাকি বন্ধ হবে।