রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৮:১১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক মোঃ মামুন ভুঁইয়া, দৈনিক ৭১ গোয়েন্দা সংবাদ,
#-জামালপুরে মাদক সেবি কথিত সাংবাদিক রিয়াজুর রহমান লাভলুকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করেছে জামালপুর থানা পুলিশ। সোমবার বিকেলে তাকে পাঁচরাস্তা মোড় এলাকার একটি ভাড়ায় থাকা বাসা থেকে আটক করা হয়। তার অপকর্মে এখন ওপেন সিক্রেট।
জামালপুর শহরের পাঁচরাস্তা এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন মাদক সেবী চরিত্রহীন প্রতারক রিয়াজুর রহমান লাভলু । তার প্রতারণা শুরু কোথায় আমরা এ-ই বিষয়ে চলে যাই।এক ব্যক্তি নাম পরিচয় অনিচ্ছুক তিনি বলেন,প্রতারক মাদক সেবি চরিত্রহীন লাভলু প্রথমে শুরু করে মাদক সেবন দিয়ে। মাঝখানে তিনি বহু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সর্বনাশ করতো। সে পরিচয় দেয় আমি অমুকের
ভাগ্নে,তমুক আমার আত্মীয়। তিনি জেলার বিভন্ন উপজেলার দপ্তর গুলোতে চষে বেড়াতো আর বড় মাপের সাংবাদিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা বাজি তার ওপেন সিক্রেট। রাস্তার ঠিকাদারদের বিভিন্ন হয়রানীসহ নানান অপকর্মের প্রমান অহরহ আছে কিছুদিন আগে তিনি জামালপুর সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌল কার্যালয়ে গিয়ে চাঁদা চাইতে গেলে উপস্থিত ঠিকাদাররা তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। পরে আরও ঘটনাটি থানা পর্যন্ত গড়ায়। কে এই লাভলু তার পরিচয় কি? তার আয়ের উৎস কি? তার আসল বাড়ি কোথায়? সে কখনও চার চাকা গাড়ি,আবার কখনও দামি দামি মোটর সাইকেল চড়ে জেলা দাপিয়ে বেড়ায়।
সূত্রে জানাযায়, জামালপুর জেলা জজ কোর্টে ও থানায় আসা যাওয়া করতে দেখা যেত লাভলুকে কে, এর কিছু দিন পর থেকেই নিজের কাছে কেমন জানি খটকা লাগতে থাকে,তার পর থেকেই ওর বিষয়টা একটু জানার আগ্রহ বেড়ে যায়। পরবর্তীতে জজ কোটের একজনকে জিজ্ঞেস করলে,তিনি বলেন,পরিচয়তো দেয়তো সাংবাদিক পর থেকে তার সাংবাদিক পরিচয়ে,প্রতারক লাভলুর প্রতারণা শুরু,
তার পর একদিন সাংবাদিকের নজরে আসে আরেকটি বিষয়,তিনি প্রতারনা করে
চাকুরিজীবী এক মহিলাকে ফাঁদে ফেলে তার সর্বষ্য লুটিয়ে নেয়ার তথ্যও খুঁজলে বের হবে।
তার পর সংবাদকর্মী পরিচয় প্রতারণায় এক পর্যায় প্রেসক্লাবের একজন সহযোগী সদস্যের নজরে আসলে তিনি তাকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে থানা হাজতে প্রেরন করেন।পরে ওই প্রতারক লাভলুকে জামালপুর সদর থানার ওসি জেলা হাজতে প্রেরন করেন।সেখানকার জেলার আবু ফাতাহকেও প্রতারনার ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে বলে তথ্য আছে।
গত কয়েকদিন আগে সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে এবং সাংবাদিক নাম ব্যবহার করে জামালপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসে গিয়ে প্রতিবাদ বিজ্ঞাপনের কথা বলে ৪০হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে সে।অথচ তিনিই টাকা না পেয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীসহ হোয়াইট বাবুর বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা কথা ফেসবুকে প্রচারনা চালাচ্ছে।
পরবর্তীতে জামালপুর সদর থানার ওসিকে প্রতারক মাদক কারবারি লাভলুর বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। জামালপুর সদর থানার ওসি ফয়সল আতিক রিয়াজুর রহমান লাভলুর গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এপ্রিল :২৯-০৪-২০২৫