মঙ্গলবার, ০৩ Jun ২০২৫, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
বোনের সাথে ভাইদের প্রতারণা,ডায়ালাইসিস এক মাস বন্ধ করায় বিনা চিকিৎসায় বোনের মৃত্যুর অভিযোগ   খুলনার বটিয়াঘাটা নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে মোঃ শোয়েব শাত-ঈল ইভান যোগদান করেছেন। কুষ্টিয়ায় নাগরিক ঐক্যের ১৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন কিশোরগঞ্জে ওয়েপ এর উদ্যোগে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন, গোপালগঞ্জ ডিসি পার্ক নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেছেন ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জ কাশিয়ানীতে মধুমতি নদীতে নিখোঁজের একদিন পর লাশ উদ্ধার। খুলনা জেলার দাকোপ থানা বাৎসরিক পরিদর্শন করেন-টি,এম,মোশাররফ হোসেন করিমগঞ্জ উপজেলা মুসলিম পাড়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, গোপালগঞ্জ ট্যাকসেস বার এসোসিয়েশন জিটিবিএ) সদস্যদের মিলন-মেলা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। জীবননগরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইউপি সদস্য দুধবারীসহ আটক৩:ফেনসিডিল উদ্ধার।

খুলনা রূপসায় নেহালপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পবাসী নদী ভাঙ্গনে আতংকিত। 

মোঃ জুয়েল খান খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি।

খুলনা জেলায় রূপসা উপজেলার ৩নং নৈহাটি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড নেহালপুর ও দেবীপুর এলাকায় আঠারোবেঁকী নদীর পাশে গড়ে উঠা আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিবাসিরা  নদী ভাঙ্গনের ফলে চরম আতংকে দিনযাপন করছে। এ দিকে আশ্রয়ণ প্রকল্প ২ এর আওতায় প্রথম ধাপে:-২৩টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৩৯ টি মোট ৬২ টি ঘর। উক্ত ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা সহায় সম্বলহীন মানুষগুলি, সহায় সম্বলহীন মানুষ উপহারের ঘরে বসবাসের পাশাপাশি নদীর পাশ দিয়ে গড়ে তুলছেন কৃষি খামার, এখান থেকে নানা রকম সবজি চাষের মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সে সকল সবজি বাজারে বিক্রয় করে ও অর্জন করেছে মুনাফা। এখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রয়েছে দুই টি সুবর্ণ নাগরিক.(প্রতিবন্ধী) পরিবার ও বসবাস করে আসছে সকলে, ঘর পেয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করলেও তাদের আতংক শুধু নদী ভাঙ্গন নিয়ে যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা মানুষ গুলির কৃষি জমি এবং কৃষি জমি শেষ হলেই চলাচলের রাস্তা এবং রাস্তা শেষ হলেই নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকায় সম্বলহীন মানুষের জমিসহ ঘর। রূপসায় নেহালপুর আশ্রয় প্রকল্পে থাকা সুবর্ণ নাগরিকের পরিবারসহ সাধারণ মানুষের কাছে তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, আমাদের বসবাসের জন্য নির্দিষ্ট স্থান ছিলোনা যেখানে আমরা বা আমাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারতাম, সরকারি ভাবে আমাদের বিনামূল্যে প্রদান করেছেন এই স্থানী বাসস্থান। তবে নদী ভাঙ্গনের ফলে আবারও হারানোর পথে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসের জন্য জমি সহ ঘর। ঘর তৈরির সময় আঠারোবেঁকী নদী ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করেন, যা আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা ৬২ ঘরের তিন ভাগের একভাগ। এ দিকে বাকি দুই ভাগ ভাঙ্গন রোধে রূপসার ৩নং নৈহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গাবগাছ ও টিন দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল, নদী ভাঙ্গনের ফলে অনেক আগেই বিলীন হয়েছে সে বাঁধ। এখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালুর বস্তুা দিয়ে যে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল তা অধিকাংশ স্থান নদী গর্বে বিলীন হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই আঠারোবেঁকী নদীর পাশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কৃষি জমি বড় বড় আকারে ভাঙ্গনের ফলে বিলীন হতে শুরু করেছে। এ দিকে নদী ভাঙ্গনের ফলে দিনদিন এগিয়ে আসছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা অসহায় সহায় সম্বলহীন মানুষের ঘরের দিকে। নদী ভাঙ্গনের ফলে যে কোন সময় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো বিলীন হতে পারে আঠারোবেঁকী নদী গর্ভে, সকল সময় আতংকিত রয়েছেন, নেহালপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পবাসী। আমরা সকল সময় আতংকিত, কখন না জানি জমি সহ ঘর আমাদের শেষ আশ্রয়স্হল ও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তাঁরা আরও বলেন, আমরা রূপসা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন করে আসছি। আমাদের জোরদাবী নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ সহ  উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমরা যাতে পরিবার নিয়ে এখানে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারি।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।