রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৯:০৯ অপরাহ্ন
বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার – ব্যুরোচীফ গোপালগঞ্জ।
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বৃহত্তর গিমাডাঙ্গা গ্রামের দহ্মিন পাড়ায় কিছু হিন্দু সনাতনী সম্প্রদায়ের জনগনের বসবাস। উক্ত গ্রামের সনাতনীরা সকল ধর্মীয় পূজাসহ একত্রে মিলিতহয়ে প্রতি বছর শারদীয় দুর্গা পূজা ও কালি মন্দিরে কালি পূজা উৎযাপন করে আসসে বহুকাল ধরে।
বিগত সময়ে তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কোনো প্রকার দূর্ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তারা।
কিন্তু বর্তমান ২০২৪ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরে উক্ত গিমাডাঙ্গা গ্রামে দুঃখ জনক ঘটনা ঘটে গেল এই প্রথমবার।
গিমাডাঙ্গা সার্বজনীন কালি মন্দিরের তালা ভেঙ্গে লুট করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে ইংরেজি ০৯/১০/২৯২৪ তারিখে।স্বরজমিনে গিয়ে জানাযায়, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালে সনাতনী মহিলারা পূজা দেওয়ার জন্য মন্দিরে গেলে তালা ভাঙ্গা ও গেট খোলা দেখতে পায়,এবং মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করলে দেখতে পায় পূজার সকল সরঞ্জাম কিছুই নেই, কালি মায়ের প্রতি ভক্তি রেখে মানসিক কৃত ভক্তদের দেওয়া সোনার কয়একটা টিপ,কাশা- পিতলের ঘট, থালা,প্রদীপ, পাজাল,বিভিন্ন মানুষের ও ভক্তদের দেওয়া নগদ অর্থ সহ যাবতীয় মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। এবিষয়ে এলাকার স্থানীয় সকল হিন্দু সনাতনী সম্প্রদায়ের জনগন একত্রিত হয়ে মন্দির লুট হওয়ার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।উক্ত কালি মন্দির কমিটির সভাপতি অধীর চন্দ্র সরকার বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে তাৎহহ্মনিক মন্দিরে আসি, এবং এ বিষয়টি সরাসরি দেখে অত্যান্ত মর্মাহত হয়েছি। আমি এই মন্দির লুট হওয়ার ব্যাপারে স্থানীয় টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
সভাপতি সহ উপস্থিত সকল সনাতনী সম্প্রদায়ের জনগন স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের কাছে একটাই দাবি জানান যে,কে বা কারা তাদের মন্দির টি তালা ভেঙ্গে রাতের আধারে লুট করেছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দেওয়া হোক। এবং এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার সু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।টুঙ্গিপাড়া থানার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত (ওসি) অফিসার ইনচার্জ খোরশেদ আলমের সাথে মুঠোফোনে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।