মঙ্গলবার, ০৩ Jun ২০২৫, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
রাতুল আহম্মেদ ( ইভান)গোপালগঞ্জ।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ১১ নং সিঙ্গা ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্য স্থানীয় সরকারের আওতাভুক্ত আর এম পি প্রকল্পে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় মহিলাদের থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা যায়।
তারা হলেন ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য কালিপদ বিশ্বাস ও ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আদিনাথ ঠাকুর। গোপন সূত্রে জানা যায় তাদের এ কাজের পিছনে রয়েছে উক্ত এলাকার কোন বুদ্ধিদাতা। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে সরজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী উজ্জলা বিশ্বাস ও ভুক্তভোগী কল্পনা ভক্তের সাথে কথা বললে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনার সত্যতা মেলে। ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা উজ্জ্বলা বিশ্বাস গত দুই মাস আগে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা ইউপি সদস্য কালিপদ বিশ্বাস কে দিয়েছেন চাকুরী বাবদ বলে জানান।এবং কল্পনা ভক্ত ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইউপি সদস্য আদিনাথ ঠাকুর কে ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জানান চাকুরী বাবদ।উক্ত ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত ২ ইউপি সদস্যদের সাথে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করতে চাইলে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ৭ নং ইউপি সদস্য ভীম সরকারের সহযোগিতায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তাদের বিরুদ্ধে চাকুরী দেওয়ার বাবদ টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।৫ নং সদস্য কালীপদ বিশ্বাস বলেন আমি যে উজ্জ্বলা বিশ্বাস এর কাছ থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা নিয়েছি তার কোন প্রমাণ নেই। ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য আদিনাথ ঠাকুর বলেন কল্পনা ভক্তের কাছ থেকে আমি ৫০ হাজার টাকা নিয়েছি ও আমার ছেলে ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে সুদ দেবো বলে চাকরি নয়। অথচ ভুক্তভোগীরা বলছে যে আমাদেরকে বলা হয়েছে দেশের অবস্থা ভালো না তাই আরও ধৈর্য্য ধরতে হবে চাকুরী পেতে হলে।ভুক্তভোগীরা বলেন আমরা খেটে খাওয়া গরিব মানুষ অন্যের কাছ থেকে সুদে এনে দিয়েছি টাকা গুলো চাকুরীর আশায়।এ ব্যাপারে ১১ নং সিংগা ইউপি চেয়ারম্যান রথিন বিশ্বাস এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমিও বিষয়টি শুনেছি তারা নাকি অসহায় দরিদ্র মহিলাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি তাদের কে ডেকে যে, এ বিষয়ে আমি কোন চিঠি পায়নি যদি এটা নিয়ে কোন ঝামেলা হয় তার দ্বায় আমি নিব না। তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, যে যে ইউপি সদস্যগণ অসহায় দরিদ্র মহিলাদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে আমি চাই তাদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।