শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
জীবননগরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইউপি সদস্য দুধবারীসহ আটক৩:ফেনসিডিল উদ্ধার। নোয়াবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন করেন, চুয়াডাঙ্গা সদর পুলিশ ফাঁড়ী বার্ষিক পরিদর্শন। কাবিখা প্রকল্পে অনিয়ম, বৃদ্ধা নারীসহ গ্রামবাসীকে মারধরের অভিযোগ নান্দাইলে। বটিয়াঘাটায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বকনা গরু বিতরণ। মিরসরাইয়ে তিনদিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন। চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইফুল, সম্পাদক সারোয়ার। ভূমি মেলা ২০২৫ উপলক্ষে নান্দাইলে বর্ণাঢ্য র‌্যালি। করিমগঞ্জে একটি ব্লক ইটের কারখানার মালিকের নিকট দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ। অস্থির অনিশ্চয়তার রাজনীতির সমীকরণে জনজীবন হুমকীর মুখে।

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়ি পোড়ানো ও অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামির মৃত্যু।

ব্যুরোচীফ- গোপালগঞ্জ।

গোপালগঞ্জে সেনাসদস্যের ওপর হামলা, গাড়িতে আগুন ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় কারাগারে থাকা এক আসামি গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে মারা গেছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ইলাহি সিকদার (২৫) নামের ওই আসামির মৃত্যু হয়।

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জিবিতোষ বিশ্বাস ও জেলা কারাগারের জেলার আবুল হোসেন আসামির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

ইলাহি সিকদার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলসি গ্রামের মো:মহি সিকদারের ছেলে। তিনি ফলসি বাজারে মিষ্টির দোকানদার ছিলেন বলে জানা যায় ।

ইলাহি সিকদারের বড় ভাই কুদরত সিকদার বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১.৩০( দেড়টার)টার দিকে ইলাহিকে ফলসি গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে পুলিশ মুঠোফোনে কল করে জানায়, ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরের দিন আদালতের নির্দেশের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয় তাকে। ০৭-সেপ্টেম্বর ফোন দিয়ে জানানো হয় যে, ইলাহি সিকদার অসুস্থ। পরে শেষ রাতের দিকে আনুমানিক সাড়ে তিনটার সময়ে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভাইয়ের মরদেহ পড়ে আছে দেখতে পান।

গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার আবুল হোসেনের সাথে এ ব্যপারে কথা বললে তিনি বলেন, ‘উনি যখন ৪ তারিখে আসেন, তখন আহত অবস্থায় আসেন।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শ
য্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকে ছাড়পত্রসহ কারাগারে আসেন। আমরা তাঁকে আবার হাসপাতালে পাঠাই।সেখান থেকে চিকিৎসা দিয়ে পুনরায় কারাগারে নিয়ে আসা হয় ।শনিবার রাতে আবার অসুস্থ হয়ে পরেন তিনি, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গোপালগঞ্জ কারাগারের কর্তব্যরত নার্স মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘সন্ধ্যার আগে তাকে যখন জেলা কারাগারে আনা হয়, তখন সে খুব অসুস্থ ছিল। হাঁটতে পারছিলো না। তাকে হুইলচেয়ারে করে ভেতরে নিয়েছি আমরা এবং চিকিৎসা দিয়েছি। পরে রাতেই তাকে আমরা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এর আগেও সে হাসপাতালে ভর্তি ছিল।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জিবিতোষ বিশ্বাস বলেন,সর্বমোট ইলাহি সিকদারকে তিনবার হাসপাতালে আনা হয়। প্রথমে ৩ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ২৪ মিনিটে, দ্বিতীয় দফায় ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ৩৭ মিনিটে এনে চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে ২টা ১১ মিনিটে আবার হাসপাতালে এনে তাঁকে ভর্তি করা হয়। এরপর তৃতীয় বারেরমত গত রাতে(০৭ তারিখে ) আনুমানিক একটার দিকে তাঁকে জেলা কারাগার থেকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
গত ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণ-আন্দোলনে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। শেখ হাসিনাকে ‘দেশত্যাগে বাধ্য’ করার প্রতিবাদে ১০ই আগস্ট বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে
অবরোধ করে গোপালগঞ্জ সদরের গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে অসংখ্য গাড়ি আটকা পড়ে ও যানজটের সৃষ্টি হয়। উক্ত বিষয়ে খবর পেয়ে গোপালগঞ্জের কর্তব্যরত সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের মহাসড়ক ছেড়ে দিতে বলেন। তখন সেনাসদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বাগ্‌বিতণ্ডায় সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তাঁরা সেনাসদস্যদের ওপর হামলা করেন। এতে সেনাবাহিনীর ৪ কর্মকর্তাসহ ৯ জন আহত হন। সেনাবাহিনীর দুটি রাইফেল ও ছয়টি ম্যাগজিন ছিনিয়ে নিয়ে একটি গাড়িতে আগুন ও দুটি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী দুটি অস্ত্র ও তিনটি ম্যাগজিন উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ২২ আগস্ট সকালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মোঃ মাহবুব আলী খান , ও সাধারণ সম্পাদক আজম সাহাবুদ্দীনসহ ১০৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান এর মাধ্যমে জানা যায়, উক্ত মামলার প্রেহ্মিতে এখন পর্যন্ত ২১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।(ওসি) মো: আনিচুর রহমান বলেন আইনের সঠিক ব্যবহার ও নিয়মনীতি মেনে আমার উপরে অর্পিত সকল দ্বায়িত্ব এবং কার্যক্রম আমি পালন করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।